ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন বলে ভাবছেন? সেক্ষেত্রে নিচের এই ধাপগুলো আপনাকে অবশ্যই সাহায্য করবে।
১. প্রথমেই আপনার দক্ষতার দিকে নজর দিন। কোন বিষয়ে আপনি নিজেকে সম্পূর্ণ দক্ষ মনে করেন সেটা খুঁজে বের করুন। হতে পারে সেটা টাইপিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজিং বা মার্কেটিং কিংবা কল সেন্টার। একটা কথা মাথায় রাখবেন হতেই পারে যে আপনি কোন কাজে নতুন, বেশিদিনের অভিজ্ঞতা নেই কিন্তু কোন কাজ মোটামুটি জানেন কিংবা আংশিক জানেন এরকম যেনো না হয়।
২. আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে দরকারী ট্রেনিং ও শিক্ষার দরকার হলে পিছপা হবেন না। মনে রাখবেন আপনি সুদক্ষ না হয়ে মার্কেটে আসলে কখনোই নিজেকে সেখানে টিকিয়ে রাখতে পারবেন না। আপনি যদি একেবারেই নতুন হন এবং কোন বিষয় নির্বাচন করে এরপরে ট্রেনিং নেয়ার কথা ভেবে থাকেন, সেক্ষেত্রে আমার পরামর্শ থাকবে যে, আপনার পছন্দকে গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি মার্কেটপ্লেসে রিসার্চ করুন এবং আপনার দক্ষতার ডিমান্ড, কাজের পরিধি ও সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে তা নির্বাচন করুন।
৩. নিজেকে একজন প্রফেশনাল হিসেবে পরিচিত লাভ করান। এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিন, আপনার কিছু কাজের ডেমো দিয়ে নিজের ওয়েবসাইট করতে পারেন বা বিহ্যান্সের মতো কোন ওয়েবসাইটে পোর্টফোলিও তৈরি করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে একটিভ থাকুন এবং সেখানে আপনার কাজ, দক্ষতা, কাজ নিয়ে আপনার চিন্তা ভাবনা কিংবা অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন।
৪. এরপরে আপনি আপনার কাজের মূল্য নির্ধারণ করুন। এর জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে আপনি যেসব মার্কেটপ্লেসে কাজ করবেন সেখানে আপনার দক্ষতার মূল্য কেমন সেটা নিয়ে গবেষণা করা। মার্কেটপ্লেসে আপনার কাজের অফারগুলো কেমন হয় তা দেখার পাশাপাশি সেসব কাজের মূল্য কেমন হয় সেদিকেও নজর দিন। আপনার কাজের জন্য সঠিক মূল্য নির্ধারণ করুন যাতে আপনি কাজের মান বজায় রাখতে পারেন এবং আপনার চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারেন।
এটি আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের অন্যতম একটা ধাপ।
৫. মার্কেটপ্লেসে আপনার একাউন্ট তৈরি করুন এবং প্রয়োজনীয় সকল তথ্য যথাযথভাবে পূরণ করুন। ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত আইন, কর, শর্ত, ইনস্যুরেন্স ইত্যাদির সাথে পরিচিত হন এবং নিয়ম ও বিধি অনুসরণ করুন। মার্কেটপ্লেসে আপনার কাজের অফার ও বিজ্ঞাপন এমনভাবে উপস্থাপন করুন যেন যে সেটা একইসাথে প্রফেশনাল এবং চমকপ্রদ হয়; যেন তা ক্লায়েন্টদের আকর্ষণ করে।
৬. আপনার ক্লায়েন্টদের শতভাগ সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করুন। সততার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন। যেটা আপনাকে দীর্ঘদিন মার্কেটে টিকে থাকতে সাহায্য করবে।
পরিশেষে একটা কথা মাথায় রাখবেন; আমরা যেরকম কাজ খুঁজে পাইনা, ক্লায়েন্টরাও দক্ষ ওয়ার্কার খুঁজে পায় না। আপনার দক্ষতা দিয়ে নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করুন, কাজ আপনার পেছনে দৌড়াবে।